সাহিত্য

সৈয়দ শিশিরের কবিতা


আত্মভোলা পথিক

অন্তরে লুকিয়ে রাখা কথা অন্তর পোড়ায়
ত্যাগের মূল্য না দিলে সম্পর্ক ভেঙে যায়।
স্বপ্নের ছাই উড়িয়ে যারা সুখের জাল বুনে
গভীর রাতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে তারা মুঠোফোনে।
বধির না হওয়া পর্যন্ত বেশ শোনা যায়
অন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বেশ দেখা যায়
মস্তিষ্ক ঠিক থাকে তো বেশ ছাড় দেয়া যায়
রাগে অনুরাগ থাকে তো শতবার ফেরানো যায়,
কিন্তু নতুনের সন্ধানে পথ হারালে পরে
অতীত হাঁটে না আর সমান্তরালে মনভরে।
মোহ ভঙ্গ হলে, নতুন দুঃখের দিনে অনেকে
নিকট অতীতে হারানো মন নিয়ে ভাবতে শেখে…

পীড়িত স্মৃতি ও কুমারী সময়10959372_1379772492334598_1629276452475404741_n

শ্রাবণের অঝোর ধারায় ভিজতে ভিজতে
হেঁটে চলা পথে মনে পড়ে পথের স্মৃতি,
বিস্মরণশীল পীড়িত সেদিনের স্মৃতি
নির্মম সুন্দর হয়ে কাছে ডাকে, কাছে!
ভয়ভরা মনে নিজেকে আড়াল করি
স্মৃতি দুর্ধর্ষ হাঙর, শিকারী।

আড়ালেও বকুলতলা, উদলা চিরকুট
কালো মেঘ, স্বল্পমাত্রার দীর্ঘশ্বাস
আরও আছে, সময়ের ভাঁজে হারানো চাষ
সময়ের ক্ষত ভুলে কাছে পেতে চায়, কাছে!
পলকে পীড়িত স্মৃতির ভাঁজ ভুলি
কুমারী সময়ের বুকেই হেঁটে চলি।

 

মনে হয়

মনে হয়,
স্নেহভূমিতে আজকাল খুব সহজেই
হানা দেয় নরকের কীট,
হায়রে কীট! মায়া হয়। অকৃত্রিম মায়া
কেন অকারণ হানা?

মনে হয়,
অবুঝ আর মৃতপ্রায় কীট
হাতিয়ে নিতে চায় স্বর্গভূমি,
অগ্রজের ছায়া করুণায় উল্লসিত। বেপরোয়া

মনে হয়,
নর্দমার জলেই পবিত্র হবে কীট
তবে পদ্মের বুকে কাদা ছিটিয়ে,
করুণার হাত সরে গেলে অন্ধকার! গলিপথ
কিছুটা সময় মাতলামি

মনে হয়,
কীট হাসে, কীট উড়ে; কখনো বা ঝিম ধরে
ভূমিজুড়ে হাসি ঝরে; কীট তবু নড়েচড়ে