শুভ সকাল ডেস্কঃ অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৯-এ প্রকাশিত হয়েছে কবি মোহন্ত কাবেরীর চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ অমরপুরের গান। শুদ্ধপ্রকাশ বইটি প্রকাশ করেছে। মেলার সোহরাওয়ার্দি উদ্যান অংশে শুদ্ধপ্রকাশের ৩৯৮ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাবে। ৮০ পৃষ্ঠার বইটিতে স্থান পেয়েছে ৭২টি কবিতা। চারু পিন্টুর চমৎকার প্রচ্ছদে বইটি ইতোমধ্যে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বইটি নিয়ে নব্বই দশকের শক্তিমান কবি মোহন্ত কাবেরী বলেন, নানা ব্যঞ্জনার কিছু কবিতা এখানে মিলবে। অবশ্যই তা পাঠকের মনে ভাবনার সঞ্চার করবে। তিনি জানান, বইটির অধিকাংশ কবিতা ইতোমধ্যে জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকী ও লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। দুটি কবিতা গান আকারেও বেরিয়েছে। গান দুটি শ্রোতাজনপ্রিয়তাও পেয়েছে। বইটি নিয়ে তিনি আশাবাদি বলে জানান।
বইটি পাঠ করে এবং কবি মোহন্ত কাবেরীর বিষয়ে; কবি ও সাংবাদিক রায়হান উল্লাহ বলেন, প্রচারবিমূখ এ কবির জীবনাচরণ কবির মতোই। লিখেন কম; তবে তা অবশ্যই বোধের সীমারেখা ছাড়াতে চায়। কবিতার সংসারে নিত্য আনাগোনা তার। জীবনাচরণও কবির মতোই। রায়হান উল্লাহ আরো বলেন, অমরপুরের গান জীবনের গূঢ় রহস্য বলে। হতে পারে কবি জীবনের চূড়ান্ত গন্তব্য মৃত্যুকে খুঁজেছেন; মৃত্যু পরবর্তী সময়কে অক্ষরের রূপ দিয়েছেন। অমরপুরের অনেক গান শিল্প ও কবিতার মানদণ্ডে সহজেই থেকে যাবে কালান্তরে। সহজ বোধে জীবনের গভীরে কিংবা নিগূঢ় মৃত্যুতে টেনেছেন কবি। এখানেই তার স্বার্থকতা। অমরপুর গানে সবাইকে স্বাগতম।
মোহন্ত কাবেরী ১৯৭৪ সালের ২১ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার নোয়াগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা রহমত উল্লাহ ও মাতা হাসনা হেনা। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তিনটিÑ চিতায় শবনৃত্য, উৎসনগরে উৎসব ও বড় দুঃখের ছোট কবিতা। সাহিত্যবিষয়ক পত্রিকাগুলোতে তার অনেক কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। খোলা সাংবাদিক আন্দোলনের সঙ্গে বহু বছর ধরে জড়িত তিনি। দীর্ঘদিন দৈনিক আজকের কাগজ ও বাংলার বাণীতে ফিচার সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি সহজভাবে গভীর বোধকে উপস্থাপন করেন। বহু বিষয়ে ভরপুর তার কবিতা। কাব্যরাজ্যে তার কবিতার গুঞ্জরণ সুমধুর। গভীর পাঠে চমৎকার অর্থ প্রকাশ করে তার সব পঙক্তি। সেই বোধে আচ্ছন্ন হন সবাই। জীবনের অভিজ্ঞতা তাকে দিয়েছে সার্বজনিন কবি হওয়ার অনুষঙ্গ।