কী অদ্ভুত!

জঙ্গলের মাঝে বিমানেই বসতবাড়ি!


দূর থেকে দেখলে মনে হতে পারে একটি বিমান বোধহয় ভুল করে জঙ্গলে আটকা পড়েছে। কিন্তু আসলে তা নয়। এই বিমানটিকে বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন ব্রুস ক্যাম্বেল। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এই ভদ্রলোক একটি অকেজা বোয়িং ৭২৭ কেনেন এবং সেখানেই সে তার বসতি স্থাপন করেন। তার দাবি, তিনি উড়োজাহাজটিকে পরিত্যক্ত হতে দিতে চাননি।full_1773746140_1434534735

তিনি বলেন, ‘একটি উড়োজাহাজকে যখন বাতিল করে দেয়া হয় তখন সেটাকে অন্যভাবেই ব্যবহার করা উচিত। কোনো উড়োজাহাজকেই পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা ঠিক নয়। সেজন্য তিনি উড়োজাহাজে বাড়িই বানিয়ে ফেলেন।

পোর্টল্যান্ডের শহর থেকে একটু দূরেই তিনি তার এই অভিনব বাড়িটি বানিয়েছেন। পরিত্যক্ত বিমানটিকে কয়েকটি পিলারের উপর দাঁড় করানো হয়েছে। বিমানের বেশিরভাগ সরঞ্জামই রেখে দিয়েছেন ক্যাম্পবেল।1434384693

এর ভেতরেই বানিয়েছেন বেডরুম, ডাইনিং রুম ও পড়ার ঘর। প্রতিনিয়তই তিনি বিমানটিকে নতুন করে সাজাচ্ছেন। ব্যতিক্রমী এ বাড়িটিতে বেশ সুখেই আছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।তিনি বলেন, এটি সত্যিই অনেক মজার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি। অন্যান্য সব বাড়ি থেকে এটি সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী। দরজা থেকে মেঝে সবকিছুই দেখতে অন্য রকম। এখানে-সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিমানের জিনিসপত্র। ভেতর ও বাহিরে বিমানের বাতি। এখানে বাস করা সত্যিই রোমাঞ্চের।LArXnP5

বছরে ৬ মাস এই বিমানটিতে থাকেন ক্যাম্পবেল। বাকি সময়টুকু তিনি জাপানে থাকেন।১৯৯৯ সালে এক লাখ ডলার দিয়ে বিমানটি কেনেন ক্যাম্পবেল। সেটাকে বাড়ির আদলে তৈরি করতে আরো এক লাখ ২০ হাজার ডলার গুণতে হয় তাকে। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তে তিনি মোটেও বিচলিত নন। বরং তিনি গর্বিত যে পরিত্যক্ত বিমানটিকে নষ্ট করে ফেলে দিতে হয়নি।

তিনি মনে করেন এ রকম সুন্দর একটি সৃষ্টিকে দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙ্গে ফেলা একদমই ঠিক নয়। তিনি বলেন, ‘কাঠ দিয়ে বাড়ি তৈরি করা পুরাতন ধারণা। একইভাবে চিরাচরিত চারকোনাকৃতির বাড়িও অনেক দেখা যায়। কিন্তু আমি নতুন কিছু করতে চেয়েছি। তারই ফলস্বরুপ বিমান সদৃশ আমার বাড়ি। image_94307_4.1 (6)

-বিডিলাইভ২৪.কম অবলম্বনে