ভ্রমণবিলাসী মানুষরা ভ্রমনে একটু বৈচিত্রতা আনতেই পারেন, ঘুরে আসতে পারেন বাংলাদেশের সুন্দরতম মসজিদ ‘বায়তুল আমান জামে মসজিদ’ থেকে যার সর্বাধিক পরিচিতি ‘গুঠিয়া মসজিদ’ নামে ।
বরিশাল শহরের অদূরে শান্ত ছায়া সুশীতল, গ্রামীণ পরিবেশে অবস্থিত এই চিত্তাকর্ষক মসজিদটি। তবে নান্দনিকতার পাশাপাশি ঐতিহ্য ও আধুনিকতার পরিপূর্ণ ছোঁয়া রয়েছে মসজিদটিতে।
১৪ একরের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই মসজিদটি শুধু প্রার্থণার কেন্দ্রই নয় বরং সুপরিচিত অবকাশ কাটানোর একটি স্থান হিসেবে। গুঠিয়া মসজিদ ঐতিহ্যবাহী তবে নেই তেমন কোন প্রাচীন ইতিহাস, নির্মিত হয় ২০০৩ সালে। নির্মাণ করেন শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু। এই মসজিদ নির্মানে ব্যয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা।
দৃষ্টি নান্দনিক গুঠিয়া মসজিদের কারুকার্যে রয়েছে ইউরোপ, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের বিখ্যাত সব মসজিদের কারুকার্যের ছাপ। মসজিদটির পার্শ্বে রয়েছে ৫৮ মিটার উঁচু একটি মিনার এবং মূল ভবনের উপরে রয়েছে ২০টি গম্বুজ। মসজিদটির বাইরের দেয়ালে খচিত রয়েছে ‘আয়াতুল কুরসী’ এবং ভেতরের দেয়ালে রয়েছে ‘সূরা আর রাহমান’ পাশাপাশি রয়েছে মূল্যবান সব নজরকাড়া মার্বেল পাথর। একসাথে ১৪ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে এখানে।
মূল মসজিদ ভবনকে কেন্দ্র করে চারপাশে রয়েছে সবুজের বিস্তৃতি, আছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির নয়নাভিরাম ফুলের সমাহার। প্রবেশ পথে রয়েছে পাড় বাঁধানো পুকুর আর পুকুরের চারপাশ ঘিরে নানা প্রজাতির ফলজ বৃক্ষের সমহার। মসজিদ ভবনের অদূরেই রয়েছে একটি মাদ্রাসা এবং এতিমখানা।মসজিদের পেছনের অংশে রয়েছে একটি প্রাকৃতিক লেক, যার পাড় দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আপনি পেয়ে যেতে পারেন অবাধে ডুব সাঁতার খেলা হংস মিথুনের দলের সাথে।
গুঠিয়া মসজিদ যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে যেতে হবে বরিশাল শহরে। ঢাকা থেকে দক্ষিণের এই বিভাগে যেতে পারেন ব্যাক্তিগত গাড়ি, লঞ্চ বা বাসে করে। বরিশালে নেমে আপনাকে গুঠিয়া মসজিদ যেতে ভাড়া করতে হবে স্থানীয় অটোরিক্সা। বরিশাল শহর থেকে ভাড়া মাথাপিছু প্রায় ৫০ টাকা করে পড়বে তবে এখানে যাওয়ার পথে আপনি একসাথে পাবেন বিল, ফসলের মাঠ ও ছায়া সুশীতল গ্রামীণ পরিবেশের ছোয়া।
-এটিএন টাইমস অবলম্বনে
You must be logged in to post a comment.