খন্দকার ইসমাইল। জনপ্রিয় উপস্থাপক। বিনোদনমূলক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘বহুরুপী’, ‘স্মাইল শো’, ‘ঈদের বাজনা বাজেরে’সহ এমন অনেক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে দর্শকদের মন জয় করেছেন। আজ আনন্দবাজারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছেন তিনি।
মিডিয়ায় আসার গল্প
-৮৬ সালে আমি নোয়াখালী কলেজে পড়ার সময় নোয়াখালী পৌর মিলনায়তনে একটি মঞ্চ নাটকের ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করি। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার ভেতর নাটক করার ইচ্ছে জমে। পরবর্তীতে ঢাকা পদাতিকে যোগ দেই। সে সময় আমার এক বড় ভাইয়ের কথায় টেলিভিশনে অডিশন দেই ৮৯ সালে। ওই বছরই টেলিভিশন থেকে আমার ডাক পড়ে। ৯১ সাল থেকে টেলিভিশনে কাজ করছি। আমার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ড. ইনামুল হকের লেখা ‘শ্রাবনে বসন্ত’। সেই নাটকে আমি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করি। এরপর আরও ৬-৭টি নাটকে কাজ করেছি।
উপস্থাপনার শুরু
-টেলিভিশনে অভিনয়ের শুরু থেকেই আলী ইমাম ভাই বললেন ছোট ছোট প্রোগ্রামগুলো উপস্থাপনা করতে। তারপর স্পেশ্যাল দিনগুলোতে উপস্থাপনা করতাম। ৯৭ সালের দিকে মোস্তফা কমাল সৈয়দ বললেন তোমাকে খাগড়াছড়িতে শান্তিচুক্তি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতে হবে। ঢাকার বাইরে টেলিভিশনে এটিই ছিল প্রথম লাইভ প্রোগ্রাম। অনুষ্ঠানটি আমি শুরু করি। আমার সঙ্গে আলী ইমাম ও আলী যাকেরসহ কয়েকজন ছিলেন। তারপর ২০০০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বাংলাদেশে যেদিন আসেন সেটি বিমানবন্দর থেকে আমি সরাসরি উপস্থাপনা করি। এভাবে উপস্থাপনায় জড়িয়ে পড়লাম।
বহুরূপী ও আড্ডা
-শান্তিচুক্তির উপস্থাপনার পর মোস্তফা কমাল সৈয়দ ভাই আবার বললেন বিটিভির জন্যে একটা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান করতে। তখন প্যাকেজ আকারে ‘বহুরূপী’ শুরু করি। এর মধ্যে ৯৮ সালের দিকে শুরু করি বিনোদনমূলক টকশো ‘আড্ডা’। আড্ডাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম টকশো অনুষ্ঠান। পরবর্তী সরকার পরিবর্তনের ফলে অনুষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যদিও আমি বিটিভির কোনো রাজনৈতিক লোক ছিলাম না।
বর্তমান ব্যস্ততা
-এখন উপস্থাপনার পাশাপাশি আমার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যস্ত আছি। এছাড়া আমার একটা প্রকাশনী সংস্থা আছে। সেখান থেকে বই প্রকাশ করব। আমাদের ‘ঘাসফড়িং’ নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও আছে সেখান থেকে অ্যালবাম প্রকাশ করার ইচ্ছেও আছে।