কন্টাক্ট লেন্স এমন একটি পাতলা প্লাস্টিক লেন্স, যা চোখের মণির সঙ্গে আটকে থাকে। এটি স্বচ্ছ কাচের মতো এবং আমাদের চোখের কর্নিয়াকে আবৃত করে রাখে। যাঁদের চোখে পাওয়ারের সমস্যা আর চশমা ব্যবহার করতে চান না, তাঁরা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারেন।
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের পাশাপাশি এর যত্ন নেওয়াও জরুরি। কারণ সামান্য অসাবধানতার জন্য কন্টাক্ট লেন্স থেকেও হতে পারে দৃষ্টিহানির মতো কঠিন সমস্যা। জেনে নিন কী করবেন-
হাত পরিষ্কার
সময়স্বল্পতা বা আলসেমি করে লেন্স পরা বা খোলার সময় হাত ভালো করে ধোয়া হয় না। ভালোভাবে হাত না ধোয়ার কারণে এই জীবাণু হাতের মাধ্যমে লেন্সে চলে যায় এবং পরবর্তী সময়ে চোখের সমস্যা, অর্থাৎ চোখে সংক্রমণ হয়।
সলিউশন ব্যবহার
যাঁরা লেন্স ব্যবহার করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই লেন্সের সলিউশন ব্যবহার করেন। চোখ থেকে লেন্স খুলে একটি নির্দিষ্ট বক্সের সলিউশনে এটি ডুবিয়ে রাখা হয়। অনেকে জেনেও একই সলিউশন দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করেন। সময়ের অভাব অথবা সলিউশন কম ব্যবহারের জন্য করেন, যা খুবই বিপজ্জনক। কারণ একই সলিউশন ব্যবহার লেন্সের ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাশ ধ্বংস করতে পারে না। তাই লেন্স ব্যবহারে প্রতিবার নতুনভাবে সলিউশন নেওয়া জরুরি। লেন্সে সরাসরি পানি দেওয়া উচিত নয়। পানিতে অনেক ক্ষুদ্র জীবাণু থাকে, যা পরবর্তী সময়ে চোখের ক্ষতি করে থাকে।
কম্পিউটার বা টিভি দেখা
অনেক সময় ধরে লেন্স পরে থাকা অথবা অনেক সময় ধরে লেন্স পরে কম্পিউটার বা টিভি দেখা চোখের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই অনেকক্ষণ একটানা না তাকিয়ে একটু পরপর পলক ফেলুন, এতে করে লেন্স শুকিয়ে যাওয়া থেকে রেহাই পাবেন। ১০ সেকেন্ড চোখ বন্ধ করে রাখলেও আরাম পাবেন।
লেন্সের মেয়াদ
প্রতিটি লেন্সের মেয়াদ দেওয়া থাকে। কিছু কিছু লেন্স তিন মাস পরার উপযোগী, আবার কিছু লেন্স ছয় মাস বা এক বছর পরার উপযোগী করে তৈরি করা হয়। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর লেন্স ব্যবহার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই মেয়াদ শেষের সঙ্গে সঙ্গে লেন্স ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বদলে ফেলুন। এ ছাড়া চোখে পরতে চোখ জ্বালাপোড়া করলে অথবা ঘনঘন চোখ শুকিয়ে গেলেও লেন্স বদলে ফেলুন।
You must be logged in to post a comment.