একটি বিশাল গ্রহাণু পৃথিবীর একেবারে পাশ ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে আগামী ২৭ মার্চ। এমনটাই জানিয়েছে নাসা। ‘২০১৪-ওয়াইবি-৩৫’ নামের ওই গ্রহাণুটি ৩৭ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে পৃথিবীর ২৮ লাখ মাইল দূর দিয়েই বেরিয়ে যাবে। যার সামান্যতম সংঘর্ষেও বাংলাদেশের মতো একশটি দেশ ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে।
২০১৪ সালের শেষ দিকে ওই গ্রহাণুটিকে প্রথম দেখতে পান যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে। সেই থেকেই শুরু হয়েছে একে ঘিরে জল্পনা-কল্পনা। এর উপর কড়া নজরদারি জারি রেখেছে নক্ষত্রবিজ্ঞানীরা।
বৈজ্ঞানিকদের দাবি, ক্ষুদ্র আকারের উল্কা মাঝেমধ্যেই পৃথিবীর পাশ দিয়ে যায়। কিন্তু এই রকম বিশালাকারের গ্রহাণু প্রতি ৫ হাজার বছরে একবার দেখা গেলেও যেতে পারে। কোনোভাবে যদি পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহাণুটির সংঘর্ষ ঘটে তবে ঘটবে বিরাট বিস্ফোরণ।
বিজ্ঞানীদের মতে, দেড় হাজার কোটি টিএনটি একসঙ্গে ফাটালে যে শক্তি উৎপন্ন হবে, এই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হলে একই পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হবে।
তবে দূরত্বের বিচারে মনে হতে পারে পৃথিবী থেকে অনেক দূর দিয়েই যাচ্ছে গ্রহাণুটি। কিন্তু অতোটা স্বস্তির নয় বলেই জানিয়েছে নাসা। ওইদিন ভূমিকম্প, সুনামির মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় হওয়ারও সম্ভাবনা প্রবল।
এদিকে ১৯০৮ সালে রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় ৫০ মিটার চওড়া একটি বিশাল শিলা ঝড়ে পড়েছিল। তুঙ্গুস্কা কাণ্ড নামে ওই ঘটনায় ৮ কোটিরও বেশি গাছপালা নষ্ট হয়েছিল। আর রাশিয়ায় হয়েছিল মারাত্মক ভূমিকম্প।
– বাংলামেইল