বাংলাদেশ চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে জীবদ্দশায় একমাত্র যে মানুষটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ পেয়েছেন তিনি নায়ক রাজ রাজ্জাক। গত ২৫ মার্চ সকালে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০১৫’ গ্রহণ করেন। পুরো চলচ্চিত্র পরিবারের জন্য বিষয়টা অনেক আনন্দের এবং গর্বের। নায়ক রাজ তথা চলচ্চিত্র পরিবারের বিশাল এই সম্মাননাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নায়ক রাজকে অভিনন্দন জানাতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানী গুলশানের ‘লক্ষীকুঞ্জ’তে হাজির হয়েছিলেন বেশ ক’জন চলচ্চিত্র তারকা। নায়ক রাজকে না জানিয়েই অনেকটা পূর্বপরিকল্পনা করে তাঁকে সারপ্রাইজ দিতেই তারকাদের বিশেষ চেষ্টা ছিলো। নায়ক রাজকে শ্রদ্ধা আর ভালোাবাসায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে যারা উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁরা হচ্ছেন ববিতা, শর্মিলী আহমেদ, পারভীন সুলতানা দিতি, অরুনা বিশ্বাস, কেয়া, রিয়াজ ও তিনা দম্পতি। সবাইকে হঠাৎ একসঙ্গে পেয়ে নায়ক রাজ ভীষণ খুশি হন। এ সময় আবেগজড়িত নায়ক রাজকে বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। সহকর্মীদের কাছে পেয়ে পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণে ফিরে যান নায়ক রাজ। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র পরিবারের সবাই আমাকে ভালোবাসে তা জানি আমি। যারা এসেছেন আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে তাঁদের প্রতি সত্যিই আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। সেইসাথে যারা আমাকে মুঠোফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁদের প্রতিই রইলো আমার ভালোবাসা।’
গল্পে গল্পে নায়ক রাজ ববিতা সম্পর্কে মজার একটি তথ্য দিলেন। আর তা হলো ছোটবেলায় ববিতার যখন শুটিং চলাকালীন সময় খুব গরম লাগতো তখন ববিতা ফ্রিজের ভেতর ঢুকে যেতেন ঠা-া হবার জন্য। ববিতা বলেন, ‘রাজ্জাক ভাইয়ের স্মৃতিশক্তি এতো প্রখর আমার জানা ছিলো না।’ ববিতা আরও বলেন, ‘নায়ক রাজ রাজ্জাক আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারের গর্ব। রাষ্ট্র তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ায় আমরা সত্যিই গর্বিত।’ প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী গল্প আর আড্ডায় নানান কথা উঠে আসে। উল্লেখ্য, নায়ক রাজ ২০১১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছিলেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। উল্লেখ্য, এর আগে সঙ্গীতপরিচালক প্রয়াত সত্য সাহা ২০১৩ সালে এবং প্রয়াত পরিচালক আলমগীর কবির ২০১০ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।