প্রথম দিন
ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকেই ও-লেভেল করেছি। ফলে এটা আমার চেনা ক্যাম্পাস। তবে এ-লেভেলের শুরুর দিন শুটিং থাকায় যেতে পারিনি। কিছুদিন পর গিয়ে দেখি, অনেক নতুন মুখ। ফলে কেমন জানি অচেনা লাগছিল। কারো সঙ্গে হাই-হ্যালো না করে ক্লাসের এক কোনায় চুপচাপ বসে ছিলাম। ক্লাস শেষে সোজা বাসায়।
পড়তে কেন এলাম
খুব ছোটবেলা থেকে দুটি জিনিস ভালো পারি-এক. ছবি আঁকা, আরেকটি হলো, হিসাব-নিকাশ। ফলে কমার্স নিয়ে পড়তে শুরু করলাম। জানি না কত দিন মিডিয়ায় কাজ করতে পারব। তবে ভবিষ্যতে করপোরেট চাকরিতে এ লেখাপড়াটা কাজে লাগবে।
ম্যানেজ করি
অভিনয় বা মডেলিং করতে গিয়ে লেখাপড়ার খুব একটা ক্ষতি হয় না। বেছে বেছে ভালো কাজগুলোই করি। যেহেতু ভালো কাজ সব সময় পাই না, তাই খুব কম কাজ করা হয়। মাসে গড়ে সাত-আট দিন কাজ থাকে। এতে ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট বা কাজ-কোনোটিতেই সমস্যা হয় না।
পরীক্ষার কথা মনে হলে
আমি প্রায় নিয়মিত ছাত্রী। শুটিংয়ের জন্য দু-এক দিন ক্লাস না করতে পারলেও বন্ধুদের কাছ থেকে ক্লাস লেকচার নিই এবং পরীক্ষার আগে কোর্সের পড়া শেষ করে ফেলি। ফলে পরীক্ষার জন্য মানসিক প্রস্তুতি ভালোই থাকে।
অনেকে ‘শাহতাজ’, কেউ ‘শাহী’, কেউ ‘তাজ’ বলে ডাকে।
আমার বন্ধু
ক্লাসের সবার সঙ্গে মিশতে পারি না। মানুষের সঙ্গে সহজভাবে মিশতে না পারাটা হয়তো আমার একটা খারাপ দিক। তাই আড্ডা দেওয়া হয় না। ক্লাসের আগে ক্যাম্পাসে ঢুকি, শেষ হলে সোজা বাসায়। ফলে তেমন বন্ধুও নেই। একা একা প্রথমদিকে খুব বোরিং লাগত। তবে সৃষ্টি আর দৃষ্টি নামের যমজ দুই বোনকে কেন জানি ভালো লাগে। এখন ওরাই বন্ধু।
প্রিয় স্যার
অ্যাকাউন্টিংয়ের স্যারকে ভালো লাগে। একে তো হিসাববিজ্ঞান মজা লাগে, অন্যদিকে স্যারও ভালো পড়ান।
You must be logged in to post a comment.