রফিকুল ইসলাম আকাশ, যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ ১লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ স্প্রিংফিল্ডের লেক এক্কোটিংক পার্কে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি’র(বাগডিসি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রবাসীদের এক ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান- “পান্তা-ইলিশ”। প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে “পান্তা-ইলিশ” অনুষ্ঠান প্রবাসের আঙ্গিনায় এনে দিয়েছে স্বদেশী সংস্কৃতির এক ভিন্ন মাত্রা। ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার সামাজিক, সাংগঠনিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিপুল লোক সমাগমে “পান্তা-ইলিশ” অনুষ্ঠানটি প্রকৃতির খোলা পরিবেশে হয়ে উঠে আনন্দমুখর, প্রানবন্ত।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে দুই দেশের প্রতি আনুগত্য ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে ছোট্টমনি অধরা ও অবনতি। এর পর একটি দেশাত্ববোধক গানের মধ্য দিয়ে আয়োজিত “পান্তা-ইলিশ” অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
বাগডিসি’র সেক্রেটারি এ্যান্থনী পিউস গোমেজের সঞ্চালনায় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও নৃত্যের ঝংকারে, সবার আলাপচারিতায় অনুষ্ঠান ছিল সবার সত্যিই উৎসবমূখর। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন বাগডিসি’র সভাপতি জনাব মোহাম্মদ আলমগীর এবং তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাগডিসি’র দু’জন শুভাকাংখী ডক্টর গোলাম মোস্তফা কাঞ্চন ও ইন্জিনিয়ার আবু নাসের হোসাইন কে পরিচয় করিয়ে দেন।
বাগডিসি’র কালচারাল সেক্রেটারি শম্পা বনিকের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন- অসীম রানা, আবু রুমী, হ্যাপি দেবনাথ, মাহিন সুজন, মিলি গোমেজ, ক্লেমেন্ট গোমেজ, জিনা গোমেজ, সুমন চৌধুরী , জলি জামান ও চ্যানেল আই সেরাকন্ঠের শিল্পী মীরা সিনহা। যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন আশীষ বড়ুয়া, মোহাম্মদ মজিদ, শিশির ও আবু রুমী এবং সাউন্ড সিস্টেম-এ শিশির। অনুষ্ঠানে খাবার সরবারাহ করেছে কাবাব কিং রেষ্টুরেন্ট।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপশি বিভিন্ন পর্বে বড়দের ও ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য খেলাধুলার আয়োজনও ছিল সবার জন্য অত্যন্ত আনন্দদায়ক এবং খেলাধুলা পর্বের পরিচালনায় ছিলেন করিম সালাহউদ্দিন ও আবু সরকার, সহযোগিতায় ছিলেন নুরুল আমিন নুরু। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে খেলায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানটির অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার ছিল ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার জনপ্রিয় মোমেন্টস মাল্টিমিডিয়া গ্রুপ। ফটোগ্রাফিতে ছিলেন রাজীব বড়ুয়া , বিপ্লব দত্ত, শামীম হায়দার এবং ভিডিওগ্রাফীতে ছিলেন রফিকুল ইসলাম আকাশ।
এছাড়া পুরো অনুষ্ঠানটি সফলভাবে আয়োজন করার জন্য বাগডিসি’র কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ সার্বিকভাবে প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন এবং সাফল্যের সাথে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেছেন। ভিন্ন মাত্রার আনন্দ আয়োজন “পান্তা -ইলিশ” অনুষ্ঠানে যেমন ছিল মুখরোচক খাবার, তেমনি ছিল মনমাতানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের এমন মিলন মেলায় সত্যিই ছিল প্রানস্পর্শী উম্মাদনা, যেখানে ফুটে উঠেছে এক দেশীয় অনুভূতি, দেশীয় আমেজ, দেশীয় সংস্কৃতির স্পর্শ, যার ছোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়েছে সবাই। ব্যস্ত জীবনধারার মাঝে এটি ছিল একটু ভিন্ন ধারার আনন্দ আয়োজন- লেক এক্কোটিংক পার্কের অনুপম নির্মল পরিবেশ ও সবুজ ছায়া হয়ে উঠেছিল রমনা বটমুল, প্রানস্পর্শে ছিল এক টুকরো বাংলাদেশ!