মডেলিংয়ে কেন এলেন?
পড়াশোনা শেষে বড় চাকরি করব—এমনটাই ভাবতাম। এক দিন এক আত্মীয়ের বিয়েতে আমাকে দেখেন আমার চাচ্চুর বন্ধু হাবিব। তিনি ওই সময় মডেলিং করতেন। হাবিব আংকেল আমার পরিবারকে রাজি করালেন যেন আমাকে মডেল হতে দেয়। আমি শুরু করলাম। একসময় প্রেমে পড়ে গেলাম। সেটা ১৯৯৮ সাল।
আপনার আইকন মডেল কে?
কৌশিকী নাসের তুপা।
কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করলেন?
তখন এ দেশে র্যাম্প মাত্রই শুরু হয়েছে। তবে তখন ভালো ভালো শো হতো। নামিদামি ডিজাইনাররা কাজ করতেন। তিন-চার মাস ধরে প্রস্তুতি চলত। কোরিওগ্রাফাররা শেখাতেন ফিটনেস, হাঁটা, অভিব্যক্তি, পোশাক বহন, আচার-আচরণও। আমার গ্রুমিংটা বলব ভালো হয়েছিল। এখনকার ছেলেমেয়েরা খুব তাড়াহুড়া করছে, সহজেই পেতে চাইছে সব কিছু।
মডেলরা কি ভালো অভিনেতা হতে পারেন?
অবশ্যই হতে পারেন। বলিউডের সুস্মিতা সেন, বিপাশা বসু, কঙ্গনা রানাওয়াত, দীপিকা পাড়ুকোন একসময় মডেলই ছিলেন। আমাদের দেশে সাদিয়া ইসলাম মৌ আপু যে অভিনয় করেন তা কি হূদয় ছুঁয়ে যায় না? তাঁর শুরু তো মডেলিং দিয়েই। এখন ইমি, পিয়া তো নাটক, সিনেমা করছে।
সুনাম ছাড়া মডেলিং থেকে আর কী পেয়েছেন?
মানুষের ভালোবাসা। তাই অন্য কাজের কথা ভাবিও না।
মুম্বাই আর বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির তুলনা করতে বললে কী বলবেন?
মুম্বাই এখন আন্তর্জাতিক মানের শো করছে। সেখানে ব্যাপারটি খুব প্রফেশনালি দেখা হচ্ছে। ভালো ভালো এজেন্সি আছে। মডেলরা এজেন্সির তত্ত্বাবধানে চলাফেরা করেন, খাওয়াদাওয়াও। তবে আমাদের দেশেও ভালো মডেল আছেন, যাঁদের আপনি ফেলতে পারবেন না।
কোনো একটি ব্র্র্যান্ডের নাম বলতে পারেন, যা আপনাকে দিয়ে মার্কেট তৈরি করেছে?
আমি দেশের প্রায় সব বড় পোশাক ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছি। অনেকে বলেন, শারমিন হক কচির ‘বিন্দিয়া বিউটি পার্লার’ আমার ছবির জন্য জনপ্রিয় হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.