আচ্ছা কোন ভিক্ষুকের মাসিক আয় ৫৮ লাখ টাকা কি আদৌ হতে পারে? শুধু কি তাই, তিনি বসবাস করেন কোটি টাকার বাড়িতে। গত বছরের এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোরণ সৃষ্টি করেছিল। ৩৭ বছর বয়স্ক ওই ভিক্ষুকের নাম সিমন রাইট। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সারাদিন ভিক্ষা করে। সে যে বাড়িতে ঘুমায় সে বাড়ির দাম তিন লাখ পাউন্ড (৩কোটি ৪৮ লাখ টাকা)!
আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়া সত্ত্বেও ভিক্ষাবৃত্তি না ছাড়ায় এই পেশাদার ভিক্ষুককে জেলে পাঠিয়েছে বৃটেনের আদালত। জানা গেছে, রাস্তার পাশে ছেঁড়া জামা পরে বসে থাকে সিমন। তার হাতের সাইনবোর্ডে লেখা থাকে, হোমলেস অ্যান্ড হাংরি। এভাবে বসে থেকেই তিনি পথচারীদের কাছ থেকে দিনে প্রায় ২০০ পাউন্ডের সমপরিমাণ টাকা পেতেন।
সারদিন ভিক্ষা শেষে রাতে কোটি টাকার বাড়িতে ফিরে যেতেন তিনি। ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিলের প্রহরীরা সিমনকে লেইসেস্টার স্কয়ারে ভিক্ষা করতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। তখনই ম্যাজিস্ট্রেটরা লন্ডনের রাস্তায় ভিক্ষা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাকে আবার ভিক্ষা করতে দেখা গেছে। এ কারণেই তার ঠিকানা হয়েছে কয়েদিখানায়।
এ বিষয়ে তৎকালীন কাউন্সিলর নিকি অ্যাইকেন বলেন, আমরা মানুষকে অনুরোধ করব যেন রাস্তার ভিক্ষুককে তারা সরাসরি টাকা না দেন। যদি সত্যিই কেউ দান করতে চান তবে সেটা গৃহহীন চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানগুলোতে দিন। যার মাধ্যমে সত্যিকারের ভিক্ষুকরা উপকৃত হবে।
-এমটিনিউজ২৪ অবলম্বনে