বিদেশে কিংবা দেশে প্রায়ই আমাদের বিমানে ভ্রমণ করতে হয়। দীর্ঘক্ষণ বিমানে ভ্রমণ করার সময় আমরা হয়তো নিজের অজান্তেই এমন কিছু আচরণ করি যা অন্যের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কীভাবে বিমানে ভ্রমণ সহজ এবং সুন্দর করা যায় সেই বিষয়ে উইকিহাউ ওয়েবসাইট অবলম্বনে রইল আদবকেতার কয়েকটি পরামর্শ :
• বিমানে উঠে বড় লাগেজগুলো সিটের উপরের লকারে রাখুন। ছোট লাগেজগুলো সামনের সিটের নিচে রাখুন। আসনের মাঝের পথে লাগেজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখবেন না। এতে অন্য ব্যক্তির যাতায়াতে অসুবিধা হতে পারে।
• তাড়াতাড়ি প্লেন থেকে নেমে পড়বেন এই ভেবে লাগেজ কখনোই সামনের সারিতে রাখবেন না। খেয়াল রাখবেন আপনার লাগেজ যেন অন্য কারো নির্ধারিত জায়গা দখল না করে।
• আরাম করে বসা বা শোবার জন্য যখন আসনকে পেছনের দিকে ধাক্কা দেবেন তখন খুব ধীরে কাজটি করবেন। যেন পেছনের আসনের কোনো ব্যক্তির মাথায় আঘাত না লাগে বা আহত না হন। পেছনের আসনের ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করতে পারেন চেয়ার পেছনে নেওয়ায় তাঁর কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না।
• আপনি হয় তো নতুন পরিবেশে নতুন বন্ধু বানাতে পছন্দই করেন। কিন্তু সবাই যে আপনার কথা শুনতে পছন্দ করবে তা কিন্তু নয়। তাই অন্যের অবস্থাকে বিবেচনা করার চেষ্টা করুন। তবে কেউ আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সৌজন্যপূর্ণ কথা বলুন।
• যদি সঙ্গে শিশু থাকে তবে একটু সতর্ক হোন। অনেকে হয়তো শিশুদের কর্মকাণ্ডে বিরক্তবোধ করেন। তাই অন্য যাত্রীদের কাছে শিশুকে যেতে না দেওয়াই ভালো।
• মনে রাখবেন, লাগেজ রাখার জন্য স্থানের (বোর্ডের) সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই মাথার উপরে যে লকারটি রয়েছে তাতে মালপত্র রাখতে সচেতন হোন। অন্যকেও মালপত্র রাখতে জায়গা করে দিন।
• অযথা আসনের মাঝের পথে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। যদি কেউ দাঁড়িয়ে থাকেন এবং এতে যদি আপনার অসুবিধা হয় তাহলে বিনয়ের সঙ্গে তাঁকে সরে যেতে বলুন।
• প্লেন থেকে নামার সময় দেখে নিন লাগেজগুলো ঠিক মতো নিয়েছেন কি না। নামার সময় অযথা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে না থেকে অন্যকে তাড়াতাড়ি নামার সুযোগ দিন। যদি আপনার সঙ্গে ভারী লাগেজ থাকে তবে আগে অন্যদের নামতে দিয়ে, পড়ে নামুন।
– ntv online অবলম্বনে