অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ভালোই নাম করছেন নাটকে। কিন্তু তাঁর নতুন বিজ্ঞাপনের খবর কী? সম্প্রতি কক্সবাজারে কাজ করে এসেছেন প্রাণের নতুন একটি ড্রিংসের টিভিসিতে। নির্দেশনা দিয়েছেন ধ্রুব হাসান। আর এই কাজটি করতে গিয়ে শুটিংয়ের সময় ‘কাট’ শব্দ শুনে খুশি হতে পারেননি স্পর্শিয়া! এই টিমের সঙ্গে তাঁর শুধু মডেল আর প্রোডাকশনের সম্পর্ক নয়, একসময় তাঁদের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
এমন আরো দুটি জায়গা আছে, যেখানে তিনি কোনো তারকা নন, একেবারে পিচ্চি একটা মেয়ে। একটি হলো এশিয়াটিক। এই এজেন্সির হাত ধরেই সাধারণ এক কলেজপড়ুয়া মেয়ের আজকের তারকা স্পর্শিয়া হয়ে ওঠা। এখনো কোনো কাজে এশিয়াটিকে গেলে সবাই আগের মতো হাত ধরে চেয়ারে বসায়, কী খাবে জিজ্ঞেস করে। আর একটি জায়গা হলো নিজের মনোজগৎ। কাজটা শেষ হলেই এই জগতের বাসিন্দা হয়ে যান তিনি। তখন তাঁকে পৃথিবীর কোনো কিছুই স্পর্শ করতে পারে না। এটা নাকি তাঁর এক ধরনের মজার খেলা।
এয়ারটেল সবে লন্স হবে। নতুন একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর দরকার। মডেল খোঁজা হচ্ছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে এক বান্ধবী জোর-জবরদস্তি করে নিয়ে যান তাঁকে। তাতেই কপাল খোলে তাঁর। কোনো অডিশন ছাড়াই স্পর্শিয়া সিলেক্ট হলেন এয়ারটেলের টিভিসির জন্য। এ পর্যন্ত শুধু এয়ারটেলেরই করেছেন ১২টি টিভিসি। টিভিসিগুলো করতে গিয়ে নানা লোকেশনে বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে মজার মজার ঘটনা।
‘একবার আমরা নওগাঁয় তীব্র শীতের মধ্যে কাজ করছিলাম। এমনিতেই শীত আমার পছন্দ নয়। তাঁর মধ্যে নওগাঁর শীতে নাক দিয়ে ধোঁয়া বেরোনোর উপক্রম। এই শীতে যেন বাঘও কাঁপে। তাই শুটিংয়ের দুই সপ্তাহ আমি পানিই ধরিনি, গোসল তো দূরে থাক। নিজের দল ভারী করতে আরো দুই-একজনকেও গোসল করতে দিইনি। তত দিনে আমাদের শরীর দিয়ে অসম্ভব দুর্গন্ধ বেরোতে লাগল। যেই না নাটের গুরু হিসেবে আমার কথা সবাই জানতে পারল, ঠিক তখনই আমাদের ডিওপি খসরু ভাই স্রেফ আমার চুলের মুঠি ধরে গোসলখানায় ঢুকাল’-হাসতে হাসতে বললেন স্পর্শিয়া।
তাঁকে সব শ্রেণির দর্শকের কাছে পৌঁছে দেয় প্যারাসুট অ্যাডভান্সড হেয়ার অয়েলের টিভিসি। এতে স্পর্শিয়ার মিউজিক্যাল ডায়ালগ ‘বন্ধু তিন দিন’ অসম্ভব জনপ্রিয়তা পায়। টিভিসিটি ২০১২ সালে বানিয়েছিলেন অমিতাভ রেজা। এই কাজটির মাধ্যমে দেড় বছরের জন্য প্যারাসুটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নির্বাচিত হন। এখন পর্যন্ত মোট ১৯ টিভিসিতে মডেল হয়েছেন তিনি। ফেসবুকে ১২৭০০০ হাজার ফলোয়ার, স্ট্যাটাসে ভূরি ভূরি লাইক, দেখা হলেই ছবি তুলতে আগ্রহী ভক্তদের দেখে স্পর্শিয়া ভাবেন, ‘কেন সবাই এত পছন্দ করে!’ পরে এই প্রশ্নের চমৎকার উত্তরও খুঁজে পান, যখন দেখেন অজপাড়াগাঁয়ের কোনো এক চায়ের দোকানে ছোট্ট একটি টিভি। আর ওই দোকানি স্পর্শিয়ার কঠিন নামটা না বলতে পারলেও ঠিকই তাঁর কাজ মনে রাখে। তখন তাঁর মনে হয়, ‘ইয়েস! আই অ্যাম এ স্টার অব দিস কান্ট্রি’।
ছবি- শামছুল হক রিপন
You must be logged in to post a comment.