শহরের রাস্তায় কেবল ধুলাবালি। শহর ছেড়ে বেরোতে চাইলে সেই যাত্রাপথেও ধুলা থেকে রেহাই নেই। তবে হ্যাঁ, আপনার ভ্রমণপথ যদি হয় নদী, তাহলে ধুলোর সাধ্যটি নেই আপনাকে ছোবে। বরঞ্চ বাড়তি হিসেবে পাবেন খোলা প্রকৃতি আর নদীর চমৎকার হাওয়া। তবে নদীপথ ধরে কোথাও বেড়াতে গেলে কিংবা শুধু নৌভ্রমণে গেলেও কিছু বিষয়ে একটু মনোযোগ রাখা দরকার। নয়তো আপনার সামান্য ভুলের জন্য বড় মাশুল গুণতে হতে পারে, কিংবা ভ্রমণের আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। চলুন জেনে নেই নদীপথে ভ্রমণের আগে জরুরি কিছু বিষয়।
১. সাথে লাগেজ যদি বেশি থাকে, তাহলে একটা কেবিন ভাড়া নেওয়া ভালো। আপনি কেবিনে থাকুন আর না থাকুন, আপনার মালামাল নিয়ে তো চিন্তাটা করতে হচ্ছে না।
২. একটু কষ্ট হলেও নিজ দায়িত্বে টিকিটের ব্যবস্থা করুন। লঞ্চে বা স্টিমারে যেটাতেই চড়ুন না কেন, সেটার ফিটনেস দেখে নিন এবং জেনে নিন এতে লাইফ জ্যাকেটের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না। ভুলেও দালালের খপ্পরে পড়বেন না।
৩. সাথে কিছু অতিরিক্ত কাপড়চোপড় রাখবেন। যেকোনো সময়ই ঠাণ্ডা লাগতে পারে, কাজেই এই সতর্কতা অনেক সময়ই কাজে দেবে।
৪. লঞ্চের ভেঁপুর আশপাশে না যাওয়াই ভালো। আপনি পাশে থাকা অবস্থায় এটি হঠাৎ যদি বেজে ওঠে, আপনার কানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫. লঞ্চে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো। আর অপরিচিত কারো কাছ থেকে তো ভুলেও কোনো খাবার খাওয়া চলবে না। মিষ্টি কথায় ভুললেই কিন্তু আপনি শেষ!
৬. ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা বন্ধুবান্ধব মিলে নৌভ্রমণের ক্ষেত্রে আগেভাগেই নৌযান ঠিক করে রাখলে ভালো। একটু লম্বা সময়ের জন্য ভ্রমণ হলে নৌযানটি সেভাবেই নির্বাচন করতে হবে।
৭. যে জায়গায় যেতে চাচ্ছেন, সেটি সম্বন্ধে ভালোভাবে খোঁজ-খবর নিন। অনলাইনে চেক করে দেখতে পারেন। বাজে বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনার বিবরণ পেলে সেদিকে না যাওয়াই ভালো। বেড়াতে গিয়ে বিপদে পড়ার কোনো মানে হয় না!
৮. সাথে কিছু দরকারি ওষুধ রেখে দিতে পারেন। অনেকের ঢেউয়ে সমস্যা হয়। এ ছাড়াও খাওয়ার বিশুদ্ধ পানি রেখে দিন পরিমাণ মতো।
৯. যতই ভালো সাঁতারু হন না কেন, নৌকা থামিয়ে সাঁতরানোর শখটা বিসর্জন দিলেই ভালো করবেন। আর সাঁতার না জানলে তো ভুলেও এ কাজ করবেন না।
১০. যদি বন্ধুরা মিলে বেড়াতে যান, সে ক্ষেত্রে আপনাদের সংখ্যা বুঝে নৌকা বা যান বাছাই করুন। কখনোই চাপাচাপি করে বা লোকে বোঝাই হয়ে কোনো নৌযানে উঠবেন না। মনে রাখবেন, ডুবলে কিন্তু রক্ষা নেই!
– ntv online অবলম্বনে