মডেলরা কিভাবে পোশাকের বাজার তৈরিতে সাহায্য করছেন?
প্রচারেই প্রসার। প্রচারের অনেক উপায় আছে। তবে মডেল দিয়ে প্রচারটা ভালো হয়। ভোক্তার মনোযোগ আকর্ষণে মডেলরা ভালো ভূমিকা রাখেন। কারণ মানুষ সৌন্দর্যপ্রিয়। তাই পোশাক বলেন বা অন্য কোনো পণ্য, প্রচারে মডেলরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
আপনার প্রতিষ্ঠান ‘রঙ’কে মডেলরা কিভাবে উপকৃত করেছেন?
আমি নিজে খুব ফ্যাশন শো করি না। তবে জাতীয় পর্যায়ের অনেক শোতে আমার পোশাক প্রদর্শিত হয়। মডেলরাই প্রদর্শন করেন। আমার প্রতিষ্ঠানের বয়স ২১ বছর। আমি এই এত বছরে পাঁচ-সাতবার ফ্যাশন শো করেছি। সেগুলো ছিল থিমেটিক। যেমন রবীন্দ্রনাথের চরিত্ররা, ঋতুভিত্তিক সাজ, ঈদের সাজ, পূজার সাজ ইত্যাদি। রঙের ব্র্যান্ডিং বেশি হয় বিলবোর্ড বা প্রিন্ট মিডিয়া দিয়ে। মৌ, বিপাশা হায়াত রঙকে অবশ্যই উপকৃত করেছেন।
বাংলাদেশের মডেলিংয়ের অবস্থা কেমন? যেমন চান তেমন মডেল পান?
এখন মডেলিংয়ে নতুনরাই বেশি। তারা খেয়ালের বশে আসছে। অনেকে কাজটাকে বুঝতে পারছে না। সম্মান করতে পারছে না। আমি তাই বলি, প্লিজ, তৈরি হয়ে তারপর এসো। মৌ, নোবেল এক দিনে তৈরি হননি। বিপাশা হায়াতরা বছরের পর বছর থিয়েটারে লেগে ছিলেন। যদি তোমরা টুম্পা বা ইমির মতো হতে চাও, তবে সেভাবেই তৈরি হও। তাঁদের জানো, খেয়াল করো। তখন আমাদের রিকোয়েস্ট করতে হবে না। আমরাই তোমাদের খুঁজে নেব।
শাড়ির মডেল হিসেবে আপনি কাকে বেশি নম্বর দেবেন?
সাদিয়া ইসলাম মৌকে আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। শাড়িতে তাঁকেই আমার বেশি ভালো লাগে। তাঁর মধ্যে বাঙালি নারীর ব্যক্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর ভঙ্গি, শারীরিক গড়ন, অভিব্যক্তি খুব মনকাড়া।
গয়নার মডেল হিসেবে কে ভালো?
আমি গয়নাও নকশা করি। গয়নার মডেল করেছি হিরাকে। কারণ ওর আছে হাই নেক। আর চেহারায় আছে আভিজাত্য।
You must be logged in to post a comment.