Uncategorized

চীনের প্রাচীর নির্মানের আদিকথা


চীনের প্রাচীর আজও  মানুষের কাছে একটি বিস্ময়। স্থাপত্যশৈলী, দৈর্ঘ্য, সৌন্দর্য সব মিলিয়ে এর অসাধারণ নির্মাণকলা সারা বিশ্বের মানুষকে এখনো ভাবায়। বলা হয় চাঁদ থেকেও নাকি চীনের প্রাচীর দেখা যায়! কিন্তু চীনারা কেন তৈরি করেছিল এই প্রাচীর?

মূলত মাঞ্চুরিয়া ও মঙ্গোলিয়ার যাযাবর দস্যুদের হাত থেকে চীনকে রক্ষা করার জন্য নির্মিত হয়েছিল এই প্রাচীর। খ্রিস্টপূর্ব ২৪৬ অব্দে চীন বিভক্ত ছিল খণ্ড খণ্ড রাজ্য আর প্রদেশে। এদের মধ্যে শি হুয়াং টি নামে একজন রাজা ছিলেন। তিনি অন্য রাজাদের সংগঠিত করে সম্রাট হন।চীনের উত্তরে গোবী মরুভূমির পূর্বে দুর্ধর্ষ মঙ্গোলদের বসবাস। এদের কাজই ছিল লুটতরাজ করা। এই লুটেরাদের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য সম্রাটের আদেশে চীনের প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রাচীরটি তৈরি হয়েছিল চিহলি (প্রাচীন নাম পোহাই) উপসাগরের কূলে শানসিকুয়ান থেকে কানসু প্রদেশের চিয়াকুমান পর্যন্ত।
পৃথিবীর দীর্ঘতম এই প্রাচীরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ হাজার ৫শ’ ৩২ কিলোমিটার। উচ্চতা ৪.৫৭ থেকে ৯.২ মিটার, চওড়ায় ৯.৭৫ মিটার। এর নির্মাণ কাজ খিস্টপূর্ব ২২১ সালে শুরু হয়। শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ১৫ বছর। ইট এবং পাথর ছিল এর মূল উপাদান।