ভবিষ্যতে চাঁদে গ্রাম তৈরি করাও সম্ভব বলে মনে করেন ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইসা) এর মহাপরিচালক জোহান দিত্রিক ওয়ার্নার। তিনি বলেন, পৃথিবীর বাইরে ওয়ার্কস্টেশন না তৈরি করে চাঁদের একপাশে একটি গ্রাম তৈরি করাই বরং ভালো সিদ্ধান্ত। কারণ এখানে মধ্যাকর্ষণ শক্তি রয়েছে।
আর গ্রাম বলতে শুধু কয়েকটি বাড়ি বা গবেষণাগারকেই বোঝাননি জার্মান স্পেস এজেন্সির সাবেক এই মহাপরিচালক। তার মতে, গ্রামটিতে বাড়ি থাকবে, গীর্জা থাকবে এবং বিভিন্ন দেশের মানুষ থাকবে। পৃথিবীর বাইরে চাঁদই হতে পারে এমন একটি উত্তম স্থান।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে ইসা’তে কাজ শুরু করা ওয়ার্নারকে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি তার এই পরিকল্পনার কথা জানান।
১৯৬০ সালে যখন নাসার মহাকাশযান প্রথমবারের মতো চাঁদে অবতরণ করে তখন এই অসম্ভব মনে হলেও ভবিষ্যতে এটা খুবই সম্ভব বলে দাবি করেন ওয়ার্নার। তিনি বলেন, চাঁদে বসবাস সৌরজগতে মানুষদের জন্য নতুন এক মাইলফলক হবে। মার্কিনরা খুব শিগগির মঙ্গলগ্রহে বসবাস করতে চায়। কিন্তু তার আগে পরীক্ষামূলকভাবে চাঁদে বসবাস করাটা বুদ্ধিমানের মতো কাজ হবে বলে মনে করেন তিনি।তিনি বলেন. মঙ্গলগ্রহের ভূপৃষ্ঠের ত্রিমাত্রিক প্রিন্ট নেয়ার আগে চাঁদে এটি পরীক্ষা করা উচিত এবং চাঁদে যাওয়াটা অনেকাংশেই সহজ।
ওয়ার্নার আরো বলেন, চাঁদে সব দেশের নাগরিকদের বসবাসেই আদর্শ গ্রাম তৈরি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র হয়তো এস্ট্রনাট পাঠাবে, রাশিয়া কসমোনাটস এবং চীন হয়তো তাকিওনাটদেরও চাঁদে পাঠাতে পারে। বিশ্বজুড়ে দেশগুলোতে চলা দ্বিধা-বিভক্তি দূর করতে চাঁদে বসবাস একটি ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে।
পৃথিবীতে কোনো নির্দিষ্ট দেশে এখন সব দেশের নাগরিকদের বসবাস সম্ভব নয়। তাই চাঁদই সবচেয়ে ভালো জায়গা।
তবে চাঁদে বসবাসের বিষয়টি শুধুমাত্রই একটি প্রস্তাবনা। কোনো দেশকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি এবং এতে কেউ এখনো কোনো অর্থ প্রদান করেনি। পরিকল্পনার কোনো রুপরেখাও তৈরি হয়নি।
স্বাভাবিকভাবেই মহাকাশ বিজ্ঞানে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এই ব্যক্তির প্রস্তাবটি সবাই গুরুত্ব সহকারেই বিবেচনা করবে। নাসা এখনো নিশ্চিত নয় তাদের নিউ ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফট তারা কোথায় পরীক্ষা করবে। এবং এজন্য চাঁদই সবচেয়ে ভালো স্থান বলে মনে করছেন অনেকে।
-প্রিয়.কম অবলম্বনে