আদনান আল রাজীব নির্মিত গ্রামীণফোন থ্রিজি ইন্টারনেট টিভিসি করেই পরিচিতি পান তৌসিফ মাহবুব। এর কাহিনীতে দেখা যায় একটি ছেলে নিজের মোবাইলে থ্রিজি ব্যবহার করে কোনো একটি কনসার্টের ভিডিও দেখছে। মনে হচ্ছে আসলেই যেখানে ওই কনসার্টটি হচ্ছিল সেখানে চলে গেছে ছেলেটি।
তৌসিফ বলেন, ‘টিভিসিতে বিশ্বখ্যাত ব্যান্ড এসিডিসির একটি কনসার্ট দেখানো হয়, যা অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই কনসার্ট দেখে অনেকেই ভাবতে পারে, এটি ভিডিও এডিটিং করে করা হয়েছে। কিন্তু তা নয়। এই কনসার্টের শুটিং হয়েছিল পুরো এক দিন এফডিসির খোলা জায়গায়। নিজের ঘরের চাল ফুটা করে যখন কনসার্টের মধ্যে পড়ি, ওই জায়গাটা আমার প্রিয়।’ এই দৃশ্যটি করতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে। এখানে তাঁকে উড়ে যেতে দেখা যায়। কিন্তু মানুষ তো উড়তে পারে না। তাঁকে ওড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় ক্রেন। শরীরকে দড়িতে ঝুলিয়ে ক্রেনে করে ওপরে তোলা হয়। এই যখন অবস্থা তখন উড়ে যাওয়ার আনন্দ বোঝাতে চোখেমুখে রাখতে হবে উচ্ছ্বাস। এই কঠিন কাজটি করতে পারছিলেন না তৌসিফ।
তিনি বলেন, ‘আমি আগে জানতান না যে দেশের সিনেমায় মারামারির দৃশ্যের শুটিং করা হয় ম্যানুয়াল ক্রেনে (মানুষ দ্বারা টেনে তোলা ক্রেন)। এটা জানার পরই পড়ে যাওয়ার ভয় চেপে বসল। পরে এফডিসির একজন সাহস দিল, ‘ভাই কোনো ভয় নাই। শাকিব খানও এভাবে শুটিং করে। বড়জোর হাত-পা ভাঙতে পারে, তয় মরবেন না। এ কথা শুনে আমি ভয় না সাহস পাব বুঝতে পারছিলাম না।’
এই শটটি ছাড়া আরো একটি জায়গায়ও অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সেটি হলো কনসার্টে নেমে ওপরে তাকানোর দৃশ্য। আগেরবার ওপরে উঠতে বিপত্তি হচ্ছিল আর এবার ওপর থেকে নামতে। হঠাৎ করে ওপর থেকে পড়তে হবে তাঁকে। এই শটটি ওকে করতে তৌসিফকে ২২ বার শট দিতে হয়। আর ততক্ষণে হাতের অবস্থা খিচুড়ি। পিচঢালা রাস্তার ওপরে ২২ বার একটি হাতের ওপর ভর করে ওপর থেকে পড়তে হয়েছে। তবে এত কষ্ট তাঁর সার্থক হলো যখন সবাই কাজটির প্রশংসা করল।
কনসার্ট যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় তাই অডিয়েন্স অবশ্যই ফরেনার হতে হবে। কিন্তু এত ফরেনার, তাও আবার ইয়াং, পাওয়াটা তো চাট্টিখানি কথা নয়। পরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির বিদেশি ছাত্রছাত্রীসহ নানা জায়গা থেকে ২০০-৩০০ ইয়াং ফরেনার আনা হয়।
এ ছাড়া তৌসিফ মডেল হয়েছেন ফ্যান্টাসি কিংডম, আরএফএল স্টিল লেক টেবিল, রুচি ঝুরি ভাজা, অ্যাকশন সুজ, হরলিকস স্পেলিং বির মতো টিভিসিতে।
কালের কণ্ঠ অবলম্বনে