ঈদের আনন্দ হাত রাঙানো মেহেদি ছাড়া অপূর্ণ থেকে যায়। তাই চাঁদ রাতে কেউ যান পার্লারে, কেউ আবার ঘরে বসে নিজেই মেহেদিতে হাত রাঙিয়ে ফেলেন। মেহেদি পাতা বেটে হাত রাঙানোর দিন অনেক আগেই শেষ। বাজারে পাওয়া যায় টিউব আকারের মেহেদি, যা দিয়ে সহজেই ডিজাইন করা যায়। সঙ্গে নানা ধরনের নকশার বই ফ্রি।
এবারের ঈদে মেহেদির জনপ্রিয় নকশা নিয়ে হারমনি স্পার রূপ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতা জানালেন, ‘ ফুল–পাতা ছাড়া অপূর্ণ থেকে যায় মেহেদির নকশা। এবারও সেই ট্র্যাডিশনই থাকছে। তবে ময়ূর, গাছ, পাখি, ফুল, পাতা, মানুষের মুখের অবয়ব, কলকি, চরকা, ডট, পানপাতা, চন্দ্র, সূর্য দিয়ে আঁকা ডিজাইনগুলোও নতুন।‘ মেহেদি দিয়ে হাত রাঙালেই হলো না। জানতে হবে কোন ধরনের হাতে কোন নকশা মানিয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের রূপ বিশেজ্ঞ কনা আলম বললেন, ‘যাদের হাত বড় তাদের হাতে বড় বা ভরাট নকশা ভালো লাগবে। আর ছোট হাতে ভরাট না করে এক পাশে লম্বালম্বি নকশা মানাবে। হাতের আঙুল ছোট হলে অনামিকা ও মধ্যমায় লম্বালম্বি যেকোনা নকশা আঁকতে পারেন। আঙুলেও নকশা আঁকা যায়।‘
কোথায় পাবেন ও দামদর
আড়ং আর আলমাসে কিছু পাকিস্তানি মেহেদির টিউব ছাড়াও তাদের নিজস্ব মেহেদি টিউব তো রয়েছেই। আর বাজারে পাবেন রাঙাপরি, সাজ গোল্ড , মমতাজ , এলিট, শাহজাদী, লিজান ইত্যাদি ব্র্যান্ড। এসব মেহেদির দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। আড়ংয়ের মেহেদি ৫০ টাকা আর আলমাসের মেহেদি রকমভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। পার্লারে তো যেতেই পারেন। এছাড়া বই দেখে বা নিজেই নেট থেকে মেহেদির নকশা সংগ্রহ করে রাঙাতে পারেন নিজের হাত।
খেয়াল রাখুন
ডিজাইন যেন খুব ঘন বা চিকন না হয়। কারণ চিকন ডিজাইনে রং গাঢ় হয় না। আর ঘন ডিজাইনে হিজিবিজি লাগে। পুরো ডিজাইন স্পষ্ট বোঝা যায় না।
–কালের কণ্ঠ অবলম্বনে