মঙ্গল গ্রহ নিয়ে গবেষনারত বিজ্ঞানীরা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এই বিবৃতিতে তারা তদের সর্বশেষ আবিষ্কার এবং মঙ্গল গ্রহ নিয়ে পাওয়া তথ্য বর্ননা করেছেন।এই বিবৃতিটির শিরোনাম ‘মার্স মিসট্রি সলভড্’ বা ‘মঙ্গলের রহস্য উন্মোচিত’। বিবৃতিতে প্রকাশ মঙ্গল গ্রহে তরল পানির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। এ ঘোষণার ফলে একদিন লাল এই গ্রহটিতে মানুষ যেতে পারবে এমন আশা জোরালো হচ্ছে। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সোমবার রাতে নাসার কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
নাসার সহযোগী প্রশাসক জন গ্রাসফিল্ড বলেন, মঙ্গলে পাওয়া গেছে তরল লবনাক্ত পানি, এতে করে গ্রহটিতে প্রানের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা আরো প্রবল হয়ে দেখা দিল। তবে নাসার গবেষকরা এখনো এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এ বছরের শুরুর দিকে নাসার পাঠানো কিউরিওসিটি রোভার মঙ্গলের পৃষ্ঠের কাছাকাছি তরল পানি খুঁজে পেয়েছিল। এই আবিষ্কারের পর মঙ্গল গ্রহ যে একেবারেই ঠান্ডা ও শুষ্ক সে ধারণা থেকে সরে আসেন গবেষকেরা। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মঙ্গলের পৃষ্ঠে এক ধরনের লবণের অস্তিত্ব আছে যা তরল পানিকে ফ্রিজিং পয়েন্টের নিচে একটি অবস্থায় যেতে সাহায্য করে।
গবেষকেরা মঙ্গলগ্রহের মেরু ও বেল্ট গ্লেসার অঞ্চলে হিমায়িত পানি থাকতে পারে বলে মনে করেন। তবে এবারের আবিষ্কারটি তরল পানির বড় আকারের ঝরনা হতে পারে যাতে জীবন ধারণ সম্ভবপর হতে পারে।
মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ক্রিস কারবেরি বোস্টন হেরাল্ডকে জানিয়েছেন, সত্যিকার অর্থেই পানির সন্ধান পাওয়া গেলে তা খুবই উপকৃত হবে মহাকাশ নভোচারীদের জন্য। তাহলে তারা অক্সিজেন ও পানির উৎস খুজে পেতে খুবই সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। মঙ্গলে পানি থাকার অর্থ হচ্ছে সেখানে তাপের কোন উৎস রয়েছে যা পামিকে তরল রাখতে সহায়ক। পৃথিবীতে যেমন পানি ও তাপ থাকলে সেখানে প্রাণ থাকার শতভাগ সম্ভাবনা থাকে। মঙ্গলেও সে সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। উল্লেখ্য এক্সপ্লোর মার্স নামের প্রতিষ্ঠানটি একটি অলাভজনক মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ।
অনলাইন অবলম্বনে
