লাইফ স্টাইল

কাজের মাঝেই পরিপাটি


অফিসে কাজের চাপ। বাড়িতেও ব্যস্ততা। তবু কাজের ফাঁকে একটু সময় করে যদি আমরা ফ্রেশ হয়ে নিই তাহলে দেখতে যেমন ভালো লাগে, মনটাও থাকে ফুরফুরে। অফিসে চটজলদি কিভাবে সাজগোজ করবেন জানালেন হারমনি স্পার রাহিমা সুলতানা রীতা।

দিনের বড় একটা সময় অফিসেই কাটে, সে কারণে অফিসে বসেই কাজের ফাঁকে ত্বকের যত্ন ও রূপচর্চা করা যায়। আসলে পুরোটাই নির্ভর করবে নিজের ওপর। একবার মাইন্ড সেটআপ করে নিলে দেখা যাবে ব্যাপারটা রুটিন ওয়ার্কের মতো। আর রূপচর্চার ব্যাপারটা যে খুব কঠিন বা সময়সাপেক্ষ তা কিন্তু নয়। খুব অল্প সময়ে নিজেকে রিফ্রেশ করে নেওয়া সম্ভব। তবে এর জন্য সঙ্গে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস রাখা দরকার। যেমন ফ্রেশওয়াশ, সানস্ক্রিন, টিস্যু এবং প্রয়োজনীয় কসমেটিকস। কসমেটিকসগুলো ব্যাগেই রাখতে পারেন। অন্য জিনিসগুলো একটা ছোট বক্সে ভরে অফিসে আপনার নিজস্ব লকারে রেখে দিন। সময়-সুযোগ বুঝে সেগুলো ব্যবহার করুন। অফিসে সাধারণত এসির ভেতর থাকতে হয়। এতে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয় বেশি। আর তৈলাক্ত ত্বক আরো বেশি চিটচিটে হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সুযোগ পেলে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নেবেন। আর মুখ তেলতেলে হলে টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে নেবেন। এক ফাঁকে কটন বলে গোলাপজল লাগিয়ে মুখটা মুছে নিতে পারেন। অনেক সতেজ লাগবে। লাঞ্চের সময় ওয়াশরুমে গিয়ে একবার চুল আচড়ে নিতে পারেন। এতে আপনার লাঞ্চের পর একটু হাঁটাও হবে, অন্যদিকে চুলটা ঠিক থাকবে।

 

এসিতে থাকতে থাকতে ঠোঁট শুকিয়ে যায়। তাই সম্ভব হলে মাঝে দু-একবার লিপস্টিক মুছে নতুন করে লাগান। আর ব্যাগে লিপগ্লস রাখুন। কিছুক্ষণ পরপর হালকা একটু লিপগ্লস লাগিয়ে নিন। ফ্রেশ দেখাবে। অফিসে আসার সময় আগে যেমন সানস্ক্রিন লাগিয়েছিলেন, তেমনি অফিসের কাজে বাইরে বের হতে হলে আবার লাগান। সানস্ক্রিন ২-৩ ঘণ্টার বেশি কাজ করে না। তাই তিন ঘণ্টা অন্তর অন্তর লাগানোই ভালো। বিশেষ করে যাদের ঘোরাঘুরির মধ্যে থাকতে হয়।

 

টিপস

* সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বেসিক একটা মেকআপ সবাই করে থাকে। সেই বেজ মেকআপ ঠিক রাখতে হলে বারবার মুখে হাত দেওয়া যাবে না।

* তেমনিভাবে বারবার চুলে হাত দেওয়া উচিত নয়। এতে করে চুলের বাউন্সি ভাব নষ্ট হয়।

* দিনের বেশির ভাগ সময় অনেকে যেহেতু অফিসে এসির মধ্যে কাজ করেন, সেহেতু যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের আরো বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। আর

শুষ্ক ত্বক আরো বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। এ কারণে হাতের কাছে সব সময় টিস্যু রাখতে হবে। আর শুষ্ক ত্বকে টোনার স্প্রে করতে পারেন।

* কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যেই ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজারসমৃদ্ধ লিপগ্লস ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঠোঁট ফাটবে না।

* হাত ধোয়ার পর হ্যান্ড লোশন লাগালে হাতের ত্বক খসখসে হবে না।

* অফিসে থাকা অবস্থায় দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করুন। ত্বক ভালো থাকবে।

– কালের কণ্ঠ অবলম্বনে